- Edited
প্রেগনেন্সিতে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ কমন ঘটনা। এছাড়াও জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান প্রেসার, আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভূমিকা রাখে।
এখানে কিছু কার্যকরী অথচ নিরাপদ টিপসের কথা বলছি যেগুলো দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
খাবার-দাবারের পরিবর্তন
ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করা
উচ্চমাত্রার ফাইবার আছে এমন খাবার যেমন ফলের মধ্যে আপেল, নাশপাতি, জাম, শাকসবজির মাঝে ব্রকলি পুঁইশাক গাজর ফুলগ্রেইন যেমন ওটমিল লাল আটার রুটি কিনোয়া এবং বীজ জাতীয় সবজি যেমন সিম ডাল এগুলো খাওয়া
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম পর্যন্ত ফাইবার গ্রহণের টার্গেট নেওয়া উচিত এটা পেট ফাঁপা হওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেঅধিক পরিমাণে পানি পান করা
প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ক্লাস পানি খাওয়ার পরিকল্পনা নেয়া উচিত সকাল বেলা উষ্ণ গরম পানি পান করলে বাথরুম হতে সহায়তা করে
এছাড়া পেপারমেন্ট বা আদা দিয়ে তৈরি হারবাল চা, প্রাকৃতিক ফলের রস যেমন প্রুন জুস এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোবায়োটিকস জাতীয় খাবার
যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, অলিভ অয়েল এগুলো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আবার প্রোবায়োটিক রিচ ফুড যেমন দই, মাঠা, ফার্মেন্টেড বিভিন্ন খাবার এগুলো হজমে সাহায্য করে।
জীবন ধরনের পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম করা
প্রতিদিন হাঁটা, সম্ভব হলে সাঁতার কাটা এবং প্রিনাটাল ইয়োগা করা যেটা হজমে সহায়তা করে এবং এই ব্যায়াম প্রতিদিনই গ্রহণ করা উচিত।একটা রুটিন মেনে চলা
যখন প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়া একই সময় বাথরুমে যাওয়ার চেষ্টা করা এতে শরীরে একটা বডি ক্লক প্রতিষ্ঠা হয়
স্টুল সফেনার
যদি বাথরুম অনেক বেশি কষা হয়ে যায় তবে এজাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করা যায়। তবে এ ধরনের Laxative ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অল্পমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম সাইট্রেট কিংবা মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া মল নরম করতে সহায়তা করে। তবে এটাও ডাক্তারের পরামর্শ হতে নেওয়া উচিত
অধিক পরিমাণে আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে মল শক্ত হয়ে যায় দরকার মতো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আয়রন সাপ্লিমেন্ট এর ডোজ পরিবর্তন করে নিতে পারেন
কখন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে?
- যদি কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক তীব্র এবং কষ্টকর হয়ে যায় এবং এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে
- মলে রক্ত দেখা গেলে এবং তলপেটে ব্যথা হলে
- নতুন ধরনের কোন সাপ্লিমেন্ট নেয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন কারণ এটা কোষ্ঠকাঠিন্য কোন প্রভাব ফেলবে কিনা জানা দরকার
প্রতিরোধে করণীয়
- সব সময় ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করা এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করা
- সারাদিনে বেশ কয়েকবার খাওয়া অভ্যাস করা। ছোট ছোট মীল পরিপাকতন্ত্রের ওপর থেকে চাপ বা ধকল কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
- যে কোন প্রক্রিয়াজাত খাবার সাদা রুটি সাদা পাউরুটি এবং অধিক পরিমাণে দুধ জাতীয় খাবার এভয়েড করা
- মানসিক স্ট্রেস ম্যানেজ করা বিভিন্ন টেকনিক এর মাধ্যমে যেমন প্রিনাটাল মেসেজ। অনেক সময় স্ট্রেস কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে