আসসালামু আলাইকুম।
অনেক আপু জানতে চেয়েছেন কীভাবে এই ৮মাস বয়সে আমি আমার মেয়েকে নিজে খাওয়ার অভ্যাস করিয়েছি। আজ তাই আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি।
আমি আমার মেয়েকে ৫.৫ মাস থেকেই সলিড খাবার দেওয়া শুরু করি। ওর সব সলিড শুরু করার লক্ষণ ছিল, আর ডাক্তারও বলেছিলেন চাইলে শুরু করতে পারি। প্রথম এক মাস ওকে আমি ডেইলি ১/২ বার ১/২ চামচ করে পিউরি দিতাম। এরপর ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়িয়েছি। প্রতিটি নতুন খাবারের ক্ষেত্রে আমি ৩ দিনের নিয়ম ফলো করেছি—মানে নতুন কোনো খাবার দিলে ৩ দিনের মধ্যে আর কিছু নতুন দিতাম না, যেন বুঝতে পারি অ্যালার্জি বা রিয়্যাকশন হচ্ছে কিনা।
এরপর ৬.৫ মাস থেকে আমি ওর সলিড BLW (baby-led weaning) শুরু করি।
প্রথম যেটা আমি সবসময় করি—
আমি যখন খেতে বসি, তখনই ওকেও খেতে দিই। দিনে ৩ বার এইভাবে রুটিন মেইনটেইন করি।
একটা খাবার ও না খেতে পারে, নষ্ট করে দিতে পারে, এটা একদমই স্বাভাবিক। কখনো ১/২ বার নয়, ১০-১৫ বা তারও বেশি বার চেষ্টা করতে হতে পারে।
ওকে সব খাবার নিজের হাতে ধরতে দিতে হয়—খাবারের ঘ্রাণ, টেক্সচার আর স্বাদ বুঝতে দিতে হয়।
খাবার নিয়ে ওকে আমি খেলতে দিই যেভাবে ও কোনো খেলনা দিয়ে খেলে।
ক্ষুধা না লাগলে, ঘুম পেলে বা পটি করার পর যদি মন খারাপ থাকে—এই অবস্থায় কখনই খাওয়ানো যাবে না। যখন মুড ভালো থাকে, তখনই খাওয়ানো উচিত।
প্রথমে ও তেমন খেত না। কিন্তু এখন ওর পছন্দ অনুযায়ী ৫০-৮০% খাবার শেষ করে। যদিও ওর প্রধান পুষ্টি এখনো দুধ থেকেই আসে, এই খাওয়াগুলো ওর শেখার একটা ধাপ মাত্র।
হ্যাঁ, খাওয়ানোর জন্য আমি ওকে ফিডিং চেয়ার দিয়েছি যখন থেকে ও সাপোর্ট দিলে শক্তভাবে বসতে পারে, তখন থেকেই। প্রথম দিকে পিছনের দিকে হেলে পড়ত ফিডিং চেয়ারে, তাই নরম কাপড় দিয়ে সাপোর্ট দিতাম। এখন পুরোপুরি বসতে পারে।
এইটুকুই আমি করেছি।
আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি আমি কত রকম খাবার চেষ্টা করেছি মাত্র ২-৩ মাসেই।
দেশে অপশন অনেক বেশি সিজনাল ফল বা দেশি মাছ।যত বেশি সম্ভব ভ্যারাইটি খাবার ট্রাই করতে হবে। এখন কোনটা আপনার বাচ্চার বয়স অনুযায়ী খাওয়ানো যাবে সেটা আপনাকেই রিসার্চ করে বের করতে হবে। বাচ্চার প্রথম এক বছরে আপনি যত রকম খাবার খাওয়াতে পারবেন, বড় হয়ে পিকি ইটার হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই কমে যাবে।
পোস্টটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, কী কী খাবার কীভাবে দিই, ইনশাআল্লাহ সেটা নিয়ে আরেকটা পোস্টে বিস্তারিত লিখব।