ফলিসন ট্যাবলেট এর জেনেরিক নাম ফলিক এসিড। নিচের কয়েকটি কারণে এটা দেয়া হয়ঃ
- ফলিসনের অভাব
- মেগালোব্লাস্টিক রক্তাল্পতা
- গর্ভাবস্থায় দেখা যায় শৈশব বা শৈশবের রক্তাল্পতাজনিত পুষ্টির অভাব
একে ভিটামিন বি৯ ও বলে।
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (এনটিডি) হলো গুরুতর জন্মগত ত্রুটি যা গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটে যখন নিউরাল টিউব—যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড গঠন করে—সঠিকভাবে বন্ধ হতে ব্যর্থ হয়। এই ত্রুটিগুলি, যেমন স্পাইনা বিফিডা (মেরুদণ্ডের ত্রুটি) এবং অ্যানেনসেফালি (মস্তিষ্কের ত্রুটি), প্রায়শই একজন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার আগেই বিকাশ লাভ করে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতি বছর প্রায় ৩,০০০ গর্ভাবস্থা এনটিডি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
এনটিডি-র ঝুঁকি কমাতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সন্তান ধারণে সক্ষম সকল মহিলাকে প্রতিদিন ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করার সুপারিশ করে। যেহেতু গর্ভাবস্থার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এনটিডি বিকাশ লাভ করে, তাই মহিলাদের গর্ভধারণের অন্তত এক মাস আগে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত এবং গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। এই পরিপূরক গ্রহণ এনটিডি-র সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে প্রমাণিত হয়েছে।
এনটিডি প্রতিরোধের বাইরেও, গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে ফলিক অ্যাসিড অন্যান্য জন্মগত ত্রুটি কমাতেও সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, এটি লোহিত রক্তকণিকা গঠনে, রক্তাল্পতা প্রতিরোধে এবং ডিএনএ সংশ্লেষণ ও মেরামতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—যা একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে, মহিলারা তাদের শিশুর স্বাস্থ্যকে এনটিডি এবং অন্যান্য জটিলতা থেকে রক্ষা করার জন্য একটি সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আরো বিস্তারিত মাতৃত্ব সাইটের এই লেখায়ঃ গর্ভধারণে কেন ফলিক এসিড দরকার?