
কয়েকদিন আগে একটা ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ দেখছিলাম যেখানে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া নারী এবং তার পাশে দাঁড়ানো তার স্বামীর কোলে শুধু যত বাচ্চা। বাচ্চার দাদা-দাদী এবং নানা-নানী একসাথেই ঢুকলেন।
দাদা-দাদী যখন তাদের ছেলের কোলে নাতনির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বাচ্চার নানি প্রায় কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে মেয়ে দিকে এগিয়ে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন।
ছোট একটা ভিডিও ক্লিপ কিন্তু খুবই গভীরতা পূর্ণ বক্তব্য আছে এতে।
একজন মানব সন্তান জন্ম দেওয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজটা করেন গর্ভবতী নারী, কিন্তু প্রসবের কঠিন কাজটার পরে তিনি কেমন যেন গৌণ হয়ে যান, নবজাতক সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়। এটা একদিক থেকে যৌক্তিক, মানুষের সন্তান একটা বড় সময় পর্যন্ত অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে।
তবে ভুলে গেলে চলবে না প্রসবের মতো একটা বড় ধকল সামলে উঠতে একজন মায়ের যেই মনোযোগ, যত্নআত্তি ও আন্তরিক ভালোবাসা দরকার, সেটা কোন অংশেই নবজাতকের চেয়ে কম না, বরং বেশিরভাগ সময় তার বেশি মনোযোগ যত্ন আছে দরকার।
কারণ এই মা সুস্থ থাকলে বাচ্চা সুস্থ থাকবে, সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠবে।
আশেপাশের মানুষদের মতো সদ্য মা হওয়া নারীরও ভূল কম না, তিনি নিজেকে সুপারওইম্যান ভেবে পারলে সেদিন থেকেই বাসাবাড়ির কাজে নেমে যান। অথচ তিনি আছেন মাতৃত্বের চতুর্থ ট্রাইমেস্টারে।
প্রিয় মা,
নিজেকে প্রায়োরিটি দিন!
আপনার যা দরকার মুখ ফুটে বলুন
পোস্টপারটামে মন খারাপের কথা প্রকাশ করুন
আপনি রাণীর মতো ট্রিটমেন্ট ডিজার্ভ করেন
এবং প্রিয় বাবা ও দাদা-দাদী,
যার মাধ্যমে কিউট এক বাবু উপহার পেলেন, তাকে রানীর মর্যাদা দিন।
তবেই আপনাদের কিউট এক রাজকন্যা পাবেন।